

র্যাফকো মধু খাঁটি ও ওজনে সঠিক
র্যাফকো ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
Kutir Shilpo Guide
র্যাফকো ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প গাইড
বাংলাদেশ একটি অতি সম্ভাবনাময় উন্নয়নশীল দেশ। এদেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে যুবক সম্প্রদায় ও কর্মক্ষম নারী-পুরুষ যারা দেশকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দিতে পারে। কিন্তু এটা অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় যে, এ দেশে সুবিধাজনক পর্যাপ্ত কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা নেই। তাই আর চাকুরীর পিছনে ছুটে সময় নষ্ট করার যৌক্তিকতা নেই। এখন সময় এসেছে নিজেই নিজের কর্ম সংস্থান করার, স্বাধীন পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করার। সে লক্ষ্যেই আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস।
শূণ্য থেকে শুরু করুনঃ
১. এই ওয়েবসাইটে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উপযোগী লাভজনক অনেক গুলি পণ্যের ফর্মুলা দেওয়া হলো। এর মধ্যে যেটি আপনাদের ভাল লাগে, যেটিকে যুগোপযোগী ও চাহিদাজনক মনে করেন, সেটি দিয়েই শুরু করুন। মানুষ ছোট থেকেই বড় হয়।
২. প্রাথমিক অবস্থায় আপনার কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কারখানা ঘর, অফিস ইত্যাদি না হলেও চলবে। নিজের থাকার ঘর থেকেই আপনি ব্যবসা শুরু করুন। আর হ্যাঁ, ’পাছে লোকে কিছু বলে’ -এ চিন্তাটি একদম মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলবেন- যারা ভাল কাজে নিরুৎসাহীত করে, তারা আপনার ও দেশের শত্রু, এদেরকে এড়িয়ে চলুন। মনে রাখবেন, যে কোন পণ্য উৎপাদন করাই মর্যাদাপূর্ণ কাজ। বরং তাদেরই লজ্জা হওয়া উচিত যারা অনুৎপাদনশীল খাতে অযথা সময় নষ্ট করে, তারা দেশের বোঝা।
কিভাবে শুরু করবেন?
১. কোন্ পণ্যটি নগদ বিক্রি হবে এবং ভাল চাহিদা আছে সেটি ভাবুন। পছন্দমত পণ্যটির ফর্মুলা ভালভাবে শিখুন, বাসায় কয়েক বার তৈরী করে প্রাক্টিস করুন এবং যথাসম্ভব মান সম্মত করার চেষ্টা করুন।
২ . এর জন্য কম খরচে ভাল ও উন্নত প্যাকেট ও লেবেল তৈরী করা যায়, সে ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করুন। তাতে পণ্যের চাহিদা ও দাম ভাল হবে।
৩. পণ্যের গুনগত মান ও ওজনের ব্যাপারে কখনোই আপোষ করবেন না।
৪. কোথায়, কিভাবে, কার কাছে পণ্য বিক্রি করবেন তার একটি সুন্দর পরিকল্পনা তৈরী করে নিন।
৫. পণ্যের প্রচারের দিকটাও বিবেচনা করবেন। কারণ, প্রচারেই প্রসার।
৬. ধীরে ধীরে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে চেষ্টা করবেন।
কি কি কাগজ পত্র বা ডকুমেন্ট লাগবে ?
১. সাধারনতঃ একটি ট্রেড ল্ইাসেন্স নিয়েই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এটি সিটি কর্পোরেশন অথবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিয়ে থাকেন।
২. খাদ্য সমগ্রী এর ক্ষেত্রে বি.এস.টি.আই. থেকে অনুমোদন নিতে হয়। এর অফিস ঢাকা তেজগাঁও শিল্প এলাকাতে। জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পণ্যটির জন্য একটি ”স্বাস্থ্য বিষয়ক লাইসেন্স” ও নিতে পারেন।
৩. আপনার লেবেলটি যাতে কেউ নকল করতে না পারে তার জন্য একটি ”ট্রেড মার্ক রেজিস্ট্রেশন” করতে পারেন। এটি ঢাকায় মতিঝিলের শিল্প ভবনে পাবেন।
৪. বিদেশে পণ্য রপ্তানির জন্য ঢাকায় মতিঝিলর আমদানী ও রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো থেকে ই.আর.সি. ( এক্সপোর্ট রেগুলেশন সার্টিফিকেট) নিতে হবে। এবং আই.এস.ও. সার্টিফিকেট নিতে হবে। এর অফিস ঢাকা তেজগাঁও শিল্প এলাকাতে।
৫. ট্যাক্স সংক্রান্ত ব্যাপারে টি.আই.এন. (টিন) সার্টিফিকেট অন লাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে পাবেন বা কর কমিশনারের অফিসে পাবেন। ভ্যাট সংক্রান্ত ব্যাপারে নিজ্ এলাকার মূ.স.ক. অফিসে যোগাযোগ করবেন।
৬. লিমিটেড কোম্পানী গঠন করতে ঢাকায় কাওরান বাজারে জয়েন স্টক রেজিস্ট্রারের অফিসে চলে যাবেন।
আরো কোন বিষয়ে সহযোগীতা প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করবেন - র্যাফকো ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, মোবাইল : ০১৯১১৩৫৯০৭৭